ঘুমবিক্রেতা
উত্তর গোলার্ধে এক ঘুমবিক্রেতা খায় দায় ঘুমায় আর
রাত্রি গভীর হলেই বায়ুতে মিশিয়ে দেয় নাইট্রাস অক্সাইড
ছোপ ছোপ রক্ত ভুলে, দহন ভুলে, যামিনীর মর্মপীড়া ভুলে
শুধু হাসতে হাসতে, হাসতে হাসতে,
চোখে জল-আসা হাসিতে গড়িয়ে পড়তে পড়তে
আর একরত্তিও ঘূমাতে পারি না!
ও ঘুমবিক্রেতা, একটু একটু মৃত্যুও মিশিয়ে দিও মাঝে মাঝে!
তাতে ঘুমের বিক্রি যেমন বাড়বে
তুমিও থাকবে ধরাছোঁয়ার একেবারেই অগোচরে!
আত্মহত্যা
শয্যা সাজিয়ে রেখে
একা বাড়ি ফিরছি
মটরওয়ের দুপাশে কলজে ফোঁড়া রক্তগাছ, রক্তফুল
ছোপ ছোপ রক্তজল, ধু ধু অশ্রুমাঠ …
শয্যায় সতীর্থ যারা, দিকে দিকে কলহাস্যে তাদের সহর্ষ গীত, অট্রহাসি …
হায় প্রেম হায় আরাধনা!
হায়রে পিতলের কলসি, তোরে লয়ে যাব যমুনা …
গোখরা
একটু পাশ ফিরলেই
হৃদয়-গলা রোদ
শস্যবাহী নদী
ইতালিয়ান পারফিউমের সম্মোহনী ঘ্রাণ
আর
পাটাতনে একটা লকলকে লাল গোখরা জেগে উঠছে দিনদিন
যে ধুলি প্রবাহের শব্দ শুনে শিহরিত হচ্ছো, এর উৎস আদৌ
আমাদের হাড়-সঙ্গম বা ওষ্ঠ-রতির উল্লাস নয়;
বরং এ হল সেই নিঃশব্দ জারুলের ভয়ার্ত আর্তনাদ
যা অঙ্কুরিত হয়েছিল আমাদের যুগল-দেহের দোআঁশ ভর্তি নাভিমূলে
দুজনের অলক্ষ্যে জারুল গাছের ধড়, বক্ষ বেয়ে একটা অদৃশ্য করাত
নিচের দিকে নেমে আসছে, হায়!
স্বরবৃত্তে গাইছে এক লুপ্ত পাহাড় আর এক ডানা ভাঙ্গা ডাইনোসোরের গান