গ্রেপ্তাররা হলেন- আজিজ মোহাম্মদ (৪৫), রনি হাওলাদার (৪০) ও মো. জাকির হোসেন (২৫)।
কমলাপুর রেলস্টেশন, গুলিস্তান গোলাপশাহ মাজারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মো. মশিউর রহমান।
তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১৭টি উন্নতমানের চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে আজিজ একজন কোরআনে হাফেজ। দীর্ঘদিন সৌদি আরবের বিভিন্ন মসজিদে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত তিন বছর ধরে তিনি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল ফোন চুরি করে আসছিলেন।
গত ২৩ মার্চ বেলা পৌনে ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ঈদযাত্রা সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলন করছিলেন কমলাপুর রেল স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ। তখন তার টেবিলে রাখা ওয়ালেট ও দুটি মোবাইল ফোন চুরি হয়।
সেসময় মাসুদ জানান, তার ওয়ালেটে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ৪৫ হাজারের বেশি টাকা ছিল। আর অ্যান্ড্রয়েড ফোন দুটির একটি সরকারি, অন্যটি তার ব্যক্তিগত।
সেদিনের সংবাদ সম্মেলনে মাসুদ সারওয়ার।
গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, “আজিজ দীর্ঘ ৩৩ বছর সৌদি আরবে ইমামের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন মালিকের গাড়ি চালকের কাজও করতেন।
“গাড়ি চালাতে চালাতে তার গাড়ি চুরির নেশা হয় এবং বিএমডব্লিউ, লেক্সাসের মতো বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি গাড়িও চুরি করতেন তিনি।”
তিনি জানান, ২০১৫ সালে গাড়ি চুরির মামলায় সৌদি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আজিজ। গাড়ি চুরির মামলায় তিন বছর সাজা ভোগ করে ২০১৮ সালে তিনি বাংলাদেশে আসেন।
“দেশে ফেরার পর কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন, কিছুদিন পর মাদরাসায় মোবাইল চুরি করে ধরা পড়লে তার চাকরি চলে যায়,”- বলেন পুলিশ কর্মকর্তা মশিউর।
এরপর থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, টিএসসি চত্বর, নগর ভবন, গুলিস্তান, ধানমন্ডি লেক এবং যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় তিনি মোবাইল ফোন চুরি করছিলেন।
চুরি করা মোবাইল ফোন তিনি গ্রেপ্তার রনি হাওলাদার ও জাকির হোসেনের কাছে বিক্রি করে দিতেন বলে জানায় পুলিশ।
আরও পড়ুন:
কমলাপুরের স্টেশন ম্যানেজারের মোবাইল-মানিব্যাগ চোর ‘চিহ্নিত’, তবে ধরা পড়েনি