পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন রোববার এক অনুষ্ঠানে এর উদ্বোধন করেন।

জৈবপ্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নতমানসম্পন্ন, অধিক খরা ও বন্যা সহনশীল ফসল উদ্ভাবনে  বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে এ গ্রিন হাউজ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, “স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং সর্বোপরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের এই মাহেন্দ্রক্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো একটি গ্রিনহাউজ স্থাপন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা।” 

তিনি বলেন, “জৈবপ্রযুক্তি প্রয়োগ করে জলবায়ু সহিষ্ণু ও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধী ফসলের উন্নয়নের প্রাথমিক গবেষণা ও মাঠ পর্যায়ে অবমুক্ত করার পূর্ব পর্যন্ত এ গ্রিনহাউজে পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণ করা সম্ভব হবে।”

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গ্রিনহাউজের কাচের ঘরের ভেতর ফসল উৎপাদনের জন্য তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও আলোসহ প্রয়োজনীয় সকল উপাদান ইচ্ছেমত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এই নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে বছরের যে কোনো সময় যে কোনো চারা উৎপাদন করা যায়, মৌসুমের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না, যা জৈবপ্রযুক্তির মাধ্যমে ফসল উদ্ভাবনের জন্য প্রয়োজনীয়। এর ভেতর সারাবছর ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি উন্নত গুণমান বিশিষ্ট ফসলের বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ সম্ভব হবে।"

উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান নবনির্মিত এই গ্রিনহাউজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের ‘এক অনন্য সংযোজন’ হিসেবে বর্ণনা করেন।

তিনি বলেন, “মৌলিক গবেষণার মাধ্যমে এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের প্রত্যয় বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”

উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপ- উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক  মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, প্রকল্প পরিচালক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. ইমদাদুল হক,  বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. রেজাউল হক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মিহির লাল সাহা উপস্থিত ছিলেন।