একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বললেন, “প্রথমবার ইভিএমে ভোট দিয়ে কতটা আনন্দ পেলাম? আমার বউ যখন ‘কবুল’ বলেছিল, সেরকম আনন্দ হল ইভিএমে ভোট দিয়ে।”
শামীম ওসমান থাকেন শহরের জামতলায়, তাই তিনি নারায়ণগঞ্জ আদর্শ স্কুলের ভোটার। তবে এর আগে তিনি এনায়েতনগর এলাকায় ভোট দিয়েছেন। ফলে তৈরি হয় বিভ্রান্তি।
সাংবাদিকরা নারায়ণগঞ্জের ডিসি মোস্তাইন বিল্লাহর কাছে জানতে চাইলেন, শামীম ওসমান কোন এলাকার ভোটার? কিন্তু তিনিও সদুত্তর দিতে পারেননি।
আগেরই শোনা গিয়েছিল শামীম ওসমান ভোট দেবেন দুপুরের পর। সাংবাদিকরা আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু কোন কেন্দ্রে তিনি যাচ্ছেন, সেটাই বোঝা যাচ্ছিল না।
সব জল্পনাকল্পনা শেষে বিকাল ৩টা ২৯মিনিটে রিকশায় চড়ে আদর্শ স্কুল কেন্দ্রেই উপস্থিত হন নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের এই সদস্য। এসেই বলেন, “ঠিক সময়ে এসেছি, আগে ভোট দিয়ে আসি।”
ভোটার পরিচয় যাচাইয়ের পর গোপন কক্ষে গিয়ে বেশ সময় নিয়েই ভোট দেন শামীম। তারপর গোপন কক্ষ থেকে বেরিয়ে এক সহযোগীর সেলফি তোলার আব্দার মেটান।
এর আগের নির্বাচন প্রকাশ্যে নৌকা মার্কায় সিল মেরে সেটা সবাইকে দেখিয়ে বাক্সে ফেলে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন এই সংসদ সদস্য। তবে এবার ইভিএমে সেই সুযোগ ছিল না।