মঙ্গলবার কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ তহিদুল ইসলামের আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়।
দুদক আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলাটি দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার উপ-সহকারী পরিচালক নাছরুল্লাহ হোসাইন।
আসামিরা হলেন গাংনী থানার সাবেক ওসি বর্তমান রাঙামাটি জেলার পুলিশের বিশেষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (পিএসটিএস) কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক হরেন্দ্রনাথ সরকার (৫৩) এবং তার স্ত্রী কৃষ্ণা রানী অধিকারী।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৬ সালের ৯ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিলের মধ্যে বিভিন্ন সময় হরেন্দ্রনাথ সরকার ‘আইন বহির্ভূত’ ও ‘অবৈধ’ পন্থায় ২ কোটি ৮৭ লাখ ৫৭ হাজার ৭৮৪ টাকা এবং তার স্ত্রী কৃষ্ণা রানী অধিকারী ৩২ লাখ ৮০ হাজার ৭০৪ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
কুষ্টিয়ার দুদকের আইন কর্মকর্তা বাসেদ আলী বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার তদন্তকারী দলের তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
“এতে দুদক আইনের ২৬(২), ২৭(১) ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ ধারার (২) ও (৩) উপধারায় সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য মনে করায় মামলাটি দায়ের করা হয়।”
এই বিষয়ে হরেন্দ্রনাথ সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হ্যাঁ এর আগে দুদক একটা তদন্ত করেছিল। তবে মামলা হয়েছে- সেটা আমার জানা নাই। উনারা তো আমার ফাইলপত্রও ঠিকভাবে দেখে নাই; আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেয় নাই। উনারা আন্দাজে কীভাবে কী করলেন আমি বুঝলাম না।”
তিনি এই বিষয়ে সংবাদ না করার অনুরোধ করেন।