১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১
লেখক, গবেষক।
ড্রাইভিং সিটে বসে কথা বলছিলাম পাশের দুই ইন্ডিয়ান সিপাহীর সঙ্গে। গুলি প্রথম এসে লাগে আমার ডান হাতের কনুইয়ে। স্টেনগান হাত থেকে নিচে পড়ে যেতেই আরও কয়েকটি গুলি লাগে তলপেটে।
“সৎ লোকের মূল্যায়ন হয় না এদেশে। নীতিভ্রষ্ট লোকই স্বাধীন দেশ বেশি পেয়েছে। রাজনীতিবিদদের সৎ থাকা জরুরি ছিল।”
“আমিসহ ৪০ জনকে বলা হলো একটা গ্রুপ করা হবে, যারা অপারেশনে গেলে মরতেও হতে পারে। আমরা রাজি হয়ে যাই, মরতে হলে দেশের জন্য মরমু।”
এবার এমন একটি সময়ে জাতি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করছে যখন একাত্তরকে মুছে ফেলার বা বিভ্রান্ত করার নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। এমনটা মনে করেন অনেকেই।
“একাত্তরে দেশের জন্য তিন-চারদিন না খেয়েও ছিলাম। নয় মাস পায়ে জুতা পরি নাই। এর মধ্যে নামাজও পড়েছি।”
সরিষা দানার মতো ওই স্প্লিন্টারগুলো এখনো আবু শামার বুকের ভেতর রয়ে গেছে। ফলে স্বাধীনতার জন্য রক্ত দেওয়া এই যোদ্ধার যুদ্ধ চলছে শরীরের সঙ্গে।