নিজস্ব প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 2020-11-21 22:05:00 BdST
মেরুল বাড্ডায় মনিরের ছয়তলা বাড়িতে র্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসুর নেতৃত্বে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চলে।
অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে এই অভিযান চালানোর পর মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব-৩ এর অপস অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক জানান।
তিনি বলেন, মনিরের বাড়ি থেকে নগদ ১ কোটি ৯ লাখ টাকা, চার লিটার মদ, ৮ কেজি স্বর্ণ, একটি বিদেশি পিস্তল ও কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, ব্যবসা নয়, কার্যত সোনা চোরাচালানই ছিল মনিরের ব্যবসা; পরে তিনি জড়িত হন জমির ব্যবসায়।
র্যাব-৩ অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল রকিবুল হাসান বলেন, “মনিরের নিউ মার্কেট এলাকায় একটি স্বর্ণের দোকান এক সময় ছিল।
“স্বর্ণ চোরাচালান ব্যবসার সময় গোল্ডেন মনির নামে পরিচিতি লাভ করে। তবে ২০০১ সালের পর থেকে সে এই ব্যবসা গুটিয়ে আনে এবং জমির ব্যবসার দিকে নজর দেয়।”
তাকে গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশের পর শনিবার বাজুসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বিভিন্ন গণমাধ্যমে জনৈক মনিরুল ইসলাম ওরফে গোল্ডেন মনিরকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এতে দেশের সাধারণ স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে। বাজুসের তথ্য মতে উক্ত মনির স্বর্ণ ব্যবসায়ী নয়।
“বাজুসের কোনো সদস্য এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড সমর্থন করে না। আমরা এ ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ নিধনে সংশ্লিষ্ট মহলকে সাধুবাদ জানাই। ভবিষ্যতে যদি প্রয়োজন হয় এ ধরনের কর্মকাণ্ড নিধনে আমরা সরকারের সাথে আছি।”
মনিরের বাড়িতে পাঁচটি গাড়ি পাওয়া গেছে, যার মধ্যে তিনটি গাড়ির বৈধ কাগজপত্র নেই বলে সেগুলো জব্দ করা হয়েছে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তারা।
মনিরের ১ হাজার ৫০ কোটি টাকার উপর সম্পদের তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে র্যাব। বাড্ডা, নিকেতন, কেরানীগঞ্জ, উত্তরা ও নিকুঞ্জে দুইশর বেশি প্লট রয়েছে তার।
র্যাব জানিয়েছে, মনিরের বিরুদ্ধে রাজউকের সিল নকল করে ভূমিদস্যুতার একটি এবং দুদকের একটা মামলা রয়েছে।
বিএনপির সঙ্গে মনিরের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিতও দিয়েছেন র্যাবের কর্মকর্তারা।