নিজস্ব প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 2022-05-18 17:59:37 BdST
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে পেট্রোবাংলার প্রস্তাবে সিঙ্গাপুরের ভিটল এনার্জির কাছ থেকে প্রায় ৯০৯ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউর সমপরিমাণ এক কার্গো এলএনজি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে কমিটির সভা শেষে সিদ্ধান্তগুলো সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জিল্লুর রহমান চৌধুরী।
তিনি বলেন, এবার প্রতি ইউনিট বা ১ এমএমবিটিইউ পরিমাণ এলএনজির দাম পড়েছে ২৬ দশমিক ৪০ ডলার, যা এপ্রিল মাসে ছিল ২৯ দশমিক ২৫ ডলার।
এপ্রিল মাসেও একই কোম্পানির কাছ থেকে মার্চ মাসের তুলনায় ২০ শতাংশ কম দামে থেকে একই পরিমাণ এলএনজি কিনেছিল পেট্রোবাংলা। মার্চ মাসে প্রতি ইউনিটের দাম ছিল ৩৬ দশমিক ৭০ ডলার।
এপ্রিল মাসে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউর দাম পড়েছিল ৯৯১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। মার্চ মাসে একই পরিমাণ গ্যাস কিনতে হয়েছিল প্রায় ১ হাজার ২৪১ কোটি ৪৯ লাখ টাকায়।
ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এনএলজি কেনাসহ মোট আটটি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। এসব প্রস্তাবে খরচ হওয়া মোট ২ হাজার ৪১০ কোটি ৬১ লাখ ২৫ হাজার ২৩৫ টাকার পুরোটা সরকারই অর্থায়ন করবে।
ব্যয় বাড়ল বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দরের সমীক্ষায়
প্রস্তাবিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রকল্পের বিস্তারিত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পে ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাবও বুধবার অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিপ্পন কোয়েই কোম্পানিকে ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ১৩ কোটি ২৬ লাখ ২৪ হাজার ৩৩১ টাকা ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয় সভায়।
করোনাভাইরাস মহামারীসহ বিভিন্ন কারণে ১১ শতাংশের বেশি ব্যয় বাড়ানো হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত সচিব জিল্লুর।
২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আঞ্চলিক বাণিজ্যিক সংযোগকেন্দ্র হিসেবে বড় একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জায়গা নির্ধারণ এখনও হয়নি।
শুরুতে ঢাকার দোহারের আড়িয়াল বিলে জমি বাছাই করা হলেও স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে সেখান থেকে সরে আসে সরকার। এরপর পদ্মা নদীর ওপারে জায়গা বাছাইয়ের কথা আলোচনায় থাকলেও তা চূড়ান্ত হয়নি।
জায়গা নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নে বুধবার অতিরিক্ত সচিব জিল্লুর রহমান বলেন, “পদ্মার এপার-ওপারে দুটি জায়গার কথাই বলা হচ্ছে। মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে এলাকায় একটা জায়গা পাওয়া গেছে। এখানেও চয়েসের বিষয় আছে।
“আড়িয়াল বিলে বিক্ষোভের জায়গা নির্বাচন সে সময় হয়নি। কৃষিমন্ত্রী সভায় বলেছেন, সেটা এখনও সেখানে হতে পারে। কারণ, ঢাকার সাথে যোগাযোগে স্থাপনের জন্য মুন্সিগঞ্জ হওয়াটা বেশি ভালো।”
স্থান নির্বাচন নিয়ে মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলবেন বলে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।