জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 2022-01-12 19:23:45 BdST
বুধবার সীমান্তবর্তী জেলা যশোরে নতুন করে আরও তিনজনের ওমিক্রনে আক্রান্তের খবর দিয়েছে জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা (জিআইএসএআইডি)।
এদের একজন বাংলাদেশি এবং দু’জন ভারতীয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ।
মহামারীতে নতুন করে উদ্বেগ ছড়ানো অতি সংক্রামক ধরন ওমিক্রনে এর আগে দেশে আক্রান্ত ৩০ জনই ছিলেন ঢাকার বাসিন্দা।
বাসে শনিবার থেকে অর্ধেক যাত্রী, ভাড়া বাড়ছে না
ওমিক্রন: বাস-ট্রেনে অর্ধেক যাত্রী, অনুষ্ঠান-সমাবেশ বন্ধ
জিআইএসএআইডির তথ্য বলছে, নতুন করে ওমিক্রন শনাক্ত ওই তিনজনের মধ্যে ৪১ বছর বয়সী এক নারী এবং ৩০ ও ২৫ বছর বয়সী দুজন পুরুষ।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করোনাভাইরাস আক্রান্ত ওই তিনজনের নমুনা সংগ্রহের পর জেনোম সিকোয়েন্স করেছে।
ড. জাহিদ জানান, ওমিক্রন শনাক্ত তিনজনের মধ্যে দুজন ভারতীয়, তারা বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছিলেন। একজন বাংলাদেশি।
“ভারতীয়রা ফিরে যাওয়ার সময় নমুনা পরীক্ষা করে কোভিড ধরা পড়ে। পরে জেনোম সিকোয়েন্স করে ওমিক্রন শনাক্ত হয়। আর বাংলাদেশি নাগরিকের বিদেশ ভ্রমণের কোনো ইতিহাস নেই। “বিদেশ ফেরত কারও সংস্পর্শে আসার কথাও জানা যায়নি। আমরা ধরে নিচ্ছি ওমিক্রন ধরনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে।”
এর আগে সোমবার পর্যন্ত ৩০ জনের ওমিক্রন শনাক্তের কথা জানিয়েছিল জিআইএসএআইডি, যাদের সবাই ছিলেন ঢাকার বাসিন্দা।
গত ১১ ডিসেম্বর জিম্বাবুয়ে ফেরত দুই নারী ক্রিকেটারের ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার খবর সরকারিভাবে জানানো হয়েছিল।
কোভিড-১৯: ধীরে ধীরে মন বদলাচ্ছে ইউরোপের
সর্দি-জ্বরের মত ওমিক্রনেও ‘আক্রান্ত হবে সবাই’: ভারতীয় বিশেষজ্ঞ
২৭ ডিসেম্বর একজন এবং ২৮ ডিসেম্বর চারজন, ৩১ ডিসেম্বর তিনজন, ৬ জানুয়ারি ১০ জন, ৭ জানুয়ারি একজন, ১০ জানুয়ারি নয় জনের শরীরে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের তথ্য আসে জিআইএসএআইডির ওয়েবসাইটে।
সরকারি প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিদেশ ফেরত হলে তাদের জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়েছে। পাশাপাশি আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছেন এমন ব্যক্তিদের ও জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়েছে। আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেও আক্রান্ত হয়েছেন কয়েকজন।