ক্রীড়া প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 2021-01-24 20:30:58 BdST
প্রথম দুই ম্যাচে প্রত্যাশিত জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। তবে তামিমদের পারফরম্যান্স প্রত্যাশার পূর্ণতা পায়নি পুরোটা। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয়বার হোয়াইটওয়াশ করা, আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগে আরও ১০ পয়েন্ট পাওয়া, এসব হাতছানি তো আছেই। পাশাপাশি শেষ ম্যাচ থেকে আরও কিছু চাওয়াকে পাওয়ার বিন্দুতে মেলাতে চাইবে বাংলাদেশ।
সিরিজের ফয়সালা হয়ে গেলেও তাই শেষ ম্যাচকে ঘিরে আগ্রহ থাকবে যথেষ্টই। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সোমবার ম্যাচ শুরু যথারীতি বেলা সাড়ে ১১টায়।
বোলিং পারফরম্যান্স দুই ম্যাচেই বাংলাদেশের ছিল দুর্দান্ত। উন্নতির জায়গা তবু আছে যথেষ্ট। প্রথম ম্যাচে নতুন বলকে কাজে লাগানো যেত আরও ভালোভাবে। দ্বিতীয় ম্যাচে সুযোগ ছিল ক্যারিবিয়ানদের একশর নিচে গুটিয়ে দেওয়ার। কিন্তু শেষ দুই জুটিতে তারা যোগ করে ফেলে ৬০ রান। বোলিং আরও আঁটসাঁট করার চ্যালেঞ্জ তাই থাকছে।
প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশ জিতলেও উন্নতির জায়গা আছে অনেক।
ম্যাচের আগের দিন তামিম পরিষ্কার করেই বলে দিলেন, প্রথম দুই ম্যাচের ঘাটতির জায়গাগুলো তারা পূরণ করতে চান শেষ ম্যাচে।
“আমি নিশ্চিত, উন্নতির আরও অনেক জায়গা আছে। পরিপূর্ণ ম্যাচ খুব কম সময়ই খেলতে পারা যায়। আমরা তিন বিভাগেই আরও উন্নতি করতে পারি। বোলিং আরেকটু ভালো করতে পারি, ফিল্ডিং ভালো করতে পারি। ব্যাটিংয়ে অনেকে ভালো শুরু পেয়েও চালিয়ে যেতে পারছে না, কাজ শেষ করে ফিরতে পারছে না। এই জায়গাগুলোয় নিশ্চিতভাবেই আমাদের উন্নতি করতে হবে।”
প্রথম দুই ম্যাচের উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য খুব আদর্শ ছিল না। দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে হওয়ায় ব্যাটসম্যানদের খানিকটা অস্বস্তি-জড়তা থাকা স্বাভাবিক। তাই এই দুই ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের ‘বেনিফিট অব ডাউট’ দেওয়াই যায়। শেষ ম্যাচে সেই মরচে আর থাকার কথা নয়। জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামের উইকেট বেশির ভাগ সময় কথা বলে ব্যাটসম্যানদের হয়েই। তাই ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্সে উল্লেখযোগ্য উন্নতির আশা করাই যায়।
ক্যারিবিয়ানদের জন্য নিজেদের অনুপ্রাণিত করা কঠিন। প্রথম দুই ম্যাচে তাদের পারফরম্যান্সে ইতিবাচক কিছু আছে যে সামান্যই! টেকনিক ও টেম্পারামেন্টের যে নমুনা তারা দেখিয়েছেন, তাতে শেষ ম্যাচে উইকেট যদি ব্যাটিং স্বর্গও হয়, তবু সংশয় থেকে যায়, কতটা কাজে তারা লাগাতে পারবেন।
লড়াই করতে হলেও নাটকীয় উন্নতি করতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
বাংলাদেশেরও স্বাভাবিকভাবেই দৃষ্টি আছে ওই ১০ পয়েন্টে। সুপার লিগে আগামী মার্চেই দলকে খেলতে হবে নিউ জিল্যান্ডে। দেশের বাইরের চ্যালেঞ্জ আছে আরও। চেনা কন্ডিশন আর খর্বশক্তির প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো পয়েন্ট তাই হারাতে চান না তামিম।
“বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ (বিশ্বকাপ) এগিয়ে আসছে, কোয়ালিফাই করতে হলে উন্নতি করে যেতেই হবে। সামনে দেশের বাইরেও খেলতে হবে আমাদের। ভিন্ন কন্ডিশনে কাজটা সবসময় কঠিন। এটা তাই নিশ্চিত করতে হবে, আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামলে সবকিছু যেন ঠিকঠাক করতে পারি।”
সবকিছু ঠিকঠাক করা যায় খুব কম সময়ই। তবে বেশির ভাগ যদি ঠিক করা যায়, সিরিজটি তৃপ্তি নিয়েই শেষ করতে পারবে বাংলাদেশ।