চট্টগ্রাম ব্যুরো, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 2020-11-30 20:57:41 BdST
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সোমবার যে তথ্য দিয়েছে, সেখানে আগের ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৪০৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৯১ জনের মধ্যে কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রামে এক দিনে এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল সর্বশেষ গত ৮ জুলাই। সেদিন ১ হাজার ৪৭১টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৯৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ার তথ্য দেওয়া হয়েছিল। এ ভাইরাসে জেলায় সেদিন ছয়জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।
সে হিসেবে সোমবার শনাক্ত রোগীর যে সংখ্যা জানানো হয়েছে, তা গত ১৪৪ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ।
গত ২৯ জুন চট্টগ্রাম জেলায় ১ হাজার ৫৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করে এক দিনের সর্বোচ্চ ৪৪৫ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শতকরা হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৭২ শতাংশ।
“চট্টগ্রামে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানা ছাড়া এ থেকে পরিত্রাণের আর কোনো পথ নেই।”
এর আগে ২৪ নভেম্বর ১৮৩ জনের মধ্যে কোভিড-১৯ ধরা পড়ার পর চট্টগ্রামে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছিল ২৪ হাজার ৫৩ জন। সেই তালিকায় আরও এক হাজার নাম যুক্ত হতে ছয় দিন সময় লেগেছে।
এ পর্যন্ত জেলায় এক লাখ ৬৫ হাজার ১৭১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, যার মধ্যে গড় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ২১ শতাংশ।
জেলায় এ পর্যন্ত শনাক্ত ২৫ হাজার ১৩৫ জন রোগীর মধ্যে ১৮ হাজার ৯৩৮ জন মহানগরের এবং ছয় হাজার ১৯৭ জন উপজেলাগুলোর বাসিন্দা।
আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৪৬৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২২ হাজার ২৯৪ জন। তাদের মধ্যে তিন হাজার ৫১১ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে আরো একজন কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১৯ জনে।
মাস্ক ছাড়া না বেরোনোর আহ্বান চট্টগ্রাম আ. লীগ নেতাদের
মাস্ক ছাড়াই বিনোদন কেন্দ্রে, চট্টগ্রামে ৫১ জনকে জরিমানা
কোভিড-১৯: চট্টগ্রামে শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে
সিভিল সার্জন জানান, চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের আইসোলেশন বেডে সোমবার মোট ১২৯ জন ভর্তি আছেন। এছাড়া বেসরকারি হাসাপাতালের আইসোলেশন বেডে ১২১ জন রোগী আছেন। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে আইসিইউতে আছেন ৪০ জন কোভিড-১৯ রোগী।
মে-জুন মাসে চট্টগ্রাম জেলায় শনাক্তের হার ছিল নমুনা পরীক্ষার প্রায় ২৮-৩০ শতাংশ। জুলাই মাসের শুরুতে তা কমে ১৯-২২ শতাংশে দাঁড়ায়।
জুলাইয়ের শেষ দিকে এই হার ১১-১২ শতাংশ ছিল। অগাস্ট মাসের শুরুতে শনাক্তের হার কিছুটা বেশি থাকলেও মাসের শেষ দিকে তা ছিল ১০ শতাংশের মত।
সেপ্টেম্বর মাসে তা আরও কমে সাড়ে পাঁচ থেকে সাত শতাংশের মধ্যে ছিল। অক্টোবর মাসের শুরুতে তা বেড়ে সাড়ে আট থেকে সাড়ে নয় শতাংশের মত হয়।
চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে সংক্রমণ আবার দ্রুত বাড়তে থাকে। ২৩ নভেম্বর তা বেড়ে ১৯ শতাংশ হয়। সব শেষ সোমবার ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেল শনাক্তের হার।