কাজুও ইশিগুরোর দ্য রিমেইন্স অফ দ্য ডে – এক আত্মপ্রতারকের প্রতিকৃতি

যুবায়ের মাহবুব
Published : 6 Oct 2017, 09:55 AM
Updated : 6 Oct 2017, 09:55 AM

পাঠকসমাজে যুগপৎ বিস্ময় ও পুলক সৃষ্টি করে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতলেন কাজুও ইশিগুরো। বিস্ময়, কারণ আলাপটা মোটামুটি সীমাবদ্ধ ছিল মুরাকামি-নগুগি-কাদারে-আদুনিস-অ্যাটউড এই কয়েকজনকে ঘিরে। পুরস্কারের কয়েকদিন আগেও মার্কিন পত্রিকা নিউ রিপাবলিক প্রায় ৮০জন সম্ভাব্য বিজয়ীর তালিকা বানিয়ে যে প্রবন্ধ ছেপেছিল, সেখানে ইশিগুরোর নাম একবারও উচ্চারিত হয়নি। পুরোদস্তুর আউটসাইডার হিসেবেই ছিনিয়ে নিলেন তিনি এবারের নোবেল। তদুপরি, টানা দুই বছর একই ভাষার লেখককে পুরস্কৃত করার রেওয়াজ নেই খুব একটা, বব ডিলানের পরপরই ইশিগুরোকে সম্মানিত করে সুইডিশ একাডেমি সেই সমীকরণটাও ভেঙে দিলেন।

আর পুলক, কারণ তার লেখনীর সাথে যারা পরিচিত, তারা জানেন ইশিগুরোর কলমের প্রকৃত শক্তি। জানেন যে ওঁর শ্রেষ্ঠ বইগুলো সঙ্গত কারণেই আধুনিক সাহিত্যের সেরা সংগ্রহের মাঝে স্থান করে নিয়েছে, ইতিমধ্যে অনূদিত হয়েছে চল্লিশটি ভাষায়।

এতক্ষণে সবাই জেনে গেলেও জীবনীটি আরেকবার ঝালাই করাই যায়। এটম বোমা বিস্ফোরণের নয় বছর পরে ১৯৫৪ সালে জাপানের নাগাসাকিতে জন্মগ্রহণ করেন কাজুও ইশিগুরো। তার বয়স যখন ছয়, তখন পুরো পরিবার চলে আসে বিলেতে, লন্ডনের অদূরে সারে কাউন্টিতে বেড়ে ওঠেন তিনি। পড়াশোনা কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে, অতঃপর ঈস্ট অ্যাঙ্গলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রখ্যাত ক্রিয়েটিভ রাইটিং প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন, এবং সেখান থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। এই প্রোগ্রাম থেকেই বেরিয়ে আসে তার প্রথম উপন্যাস, ১৯৮২ সালে।

সেই স্থান ও কাল নিয়ে কিছু আলোকপাত করা প্রয়োজন। আশির দশকে মার্গারেট থ্যাচারের ব্রিটেনে বিপ্লব সাধিত হচ্ছিল বিভিন্ন স্তরে। একদিকে প্রবল আঘাতে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের কোমর ভেঙে দিয়ে ব্রিটেনের অর্থনীতিকে মুক্তবাজারের উদ্দাম জোয়ারে ভাসিয়ে দিচ্ছিলেন থ্যাচার, বলা যায় বহুলনিন্দিত নিওলিবারেল অর্থনীতির প্রবর্তনে থ্যাচারের ব্রিটেনই রেখেছিল অগ্রণী ভূমিকা। সমাজেও পরিবর্তন আসতে শুরু করে সেই সময়ে। প্রায়-সামন্তবাদী শ্রেণী কাঠামো ধীরে ধীরে শিথিল হয়ে পড়ে, এমনকি ওয়ার্কিং ক্লাস বা শ্রমিক শ্রেণীর ছেলেমেয়েরাও স্বপ্ন দেখতে শুরু করে নতুন সম্ভাবনার, নিজেকে উত্তরণের নতুন পথের। প্রথা-ভাঙার এই দশক ব্রিটেনের সংস্কৃতিতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল, সেটা সাহিত্য-শিল্পকলা থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র, থিয়েটার, রক মিউজিক, মিডিয়া জগৎ সকল ক্ষেত্রেই। থ্যাচারের হাতেগড়া নতুন দেশটির প্রতিকৃতি এঁকে একাধিক উপন্যাস লিখে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন মার্টিন এমিস, "মানি" এবং "লন্ডন ফিল্ডস"-এর মত বইয়ে।

সেই একই সময়ে উঠে আসেন ইশিগুরো। পাঁচজন তরুণ লেখক তখনকার ব্রিটিশ ফিকশনকে মোটামুটি উলোট-পালট করে দিচ্ছিলেন। সবচেয়ে বেশি শোরগোল ফেলেছিলেন মার্টিন এমিস এবং প্রাক-ফতোয়া সালমান রুশদি – রুশদির "মিডনাইটস চিলড্রেন" উপন্যাসটি পোস্টকলোনিয়াল সাহিত্যে নতুন দিগন্তের উন্মোচন করে, এবং ১৯৮১ সালের বুকার প্রাইজ জিতে নেয়। পঞ্চপাণ্ডবের আরো দুজন ইয়ান ম্যাকইউয়ান এবং জুলিয়ান বার্ন্স – এরা দুজনেই অপেক্ষাকৃত দেরীতে বুকার জয় করলেও সজোর পদধ্বণি শোনা যাচ্ছিল আশির দশকের গোড়া থেকেই।

পঞ্চপাণ্ডবের সবচেয়ে চুপচাপ সদস্য হয়তো ইশিগুরো। মৃদুভাষী, গিটার বাজাতে পছন্দ করেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত জাপানের প্রেক্ষাপটে তার দ্বিতীয় উপন্যাস "আর্টিস্ট অফ দ্য ফ্লোটিং ওয়ার্ল্ড" (১৯৮৬) মোটামুটি সমাদর লাভ করে, তখনকার দিনে মর্যাদাসম্পন্ন হুইটব্রেড পুরস্কার জিতে নেয়। কিন্তু তবুও তার তৃতীয় উপন্যাসের জন্যে বোধ করি কেউই প্রস্তুত ছিল না। গল্পটির নাম "দ্য রিমেইন্স অফ দ্য ডে" – সর্বসম্মতিক্রমে আধুনিক ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস, এবং চরিত্রের কণ্ঠে লেখকের অস্তিত্ব সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যাবার চোখ-ধাঁধানো এক উদাহরণ।

কাহিনীটি সংক্ষেপে বলি। পঞ্চাশের দশকের কোন এক রোদ-ঝকঝকে সকালে ডার্লিংটন হল নামের বিশাল জমিদারবাড়ি ছেড়ে গাড়ি নিয়ে পথে বেরিয়ে পড়ছেন জমিদারের প্রৌঢ় বাটলার মিস্টার স্টিভেন্স। এই বাড়িতে সে বিশ্বস্ত সার্ভিস দিয়ে আসছে কয়েক যুগ ধরে, অবশ্য পুরোনো জমিদার লর্ড ডার্লিংটন তো আর নেই, যুদ্ধের পরে জনৈক মার্কিন ধনকুবের ফ্যারাডে এই বাড়ি কিনে নিয়েছেন। বিশ্বমঞ্চে ব্রিটেনের পতন আর যুক্তরাষ্ট্রের উত্থানের প্রতিবিম্ব যেন এই পালাবদল। রোড ট্রিপে বেরিয়ে পড়ার পেছনে কারণ আছে – পুরোনো এক কর্মচারী মিস কেন্টন-কে আবার এই বাড়িতে নিয়োগ দেয়া যায় কি না, সেই সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখতে চান স্টিভেন্স। যুদ্ধের আগে লর্ড ডার্লিংটন যখন বাড়ির একচ্ছত্র অধিপতি ছিলেন, তখন স্টিভেন্স এবং মিস কেন্টন শক্ত হাতে হাল ধরেছিলেন, বাড়ির সুষ্ঠু পরিচালনায় পার্টনার ছিলেন যেন দুজনে।

গাড়ি সামনে ছোটে, পেছন চেয়ে স্মৃতি রোমন্থন করেন গাড়ির চালক। স্টিভেন্সের জীবনের ধ্যানজ্ঞান বলতে শুধু সার্ভিস – এবং একটি শব্দ, একটি জাদুমন্ত্র তার সকল কাজের পাথেয়। সেই শব্দটি ডিগনিটি – একে আত্মমর্যাদা বলুন বা পদমর্যাদা বলুন, একজন বাটলারের কাছে এই মর্যাদার উপরে আর কোন কিছু থাকতে পারে না। একজন মহান বাটলারের বৈশিষ্ট্য কি কি, সেই অনুসন্ধানে সর্বদা ব্যস্ত থাকে স্টিভেন্সের উৎসুক মন। What makes a great butler? এই প্রশ্নের উত্তর তিনি খোঁজেন অনবরত, চেষ্টা করেন সেই অস্পৃশ্য উচ্চতায় নিজেকে নিয়ে যেতে।

কিন্তু ফুলের বাগানে সাপের ছায়া দেখি আমরা। যুদ্ধের আগে ব্রিটেনে ডানপন্থী রক্ষণশীল গোষ্ঠী নেহায়েত দুর্বল ছিল না, হিটলারের সাথে মিটমাট বা আপোষেও আগ্রহী ছিলেন সমাজের অনেক বড় বড় মানুষ। আমরা জানতে পারি যে স্টিভেন্সের প্রাক্তন মনিব লর্ড ডার্লিংটন স্বয়ং এই আপোষকামীদের একজন ছিলেন। উনচল্লিশে বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে এদের পরিচয় হয় স্রেফ দেশদ্রোহী হিসেবে। যে মানুষের বিশ্বস্ত সেবায় জীবনের শ্রেষ্ঠ বছরগুলো উৎসর্গ করেছেন স্টিভেন্স, এই মূল্যায়ন কিভাবে মেনে নিবেন তিনি, কিভাবে সমঝোতা করবেন ইতিহাসের রায়ের সাথে?

আর রয়েছেন মিস কেন্টন। ডিগনিটি রক্ষায় সদাসজাগ স্টিভেন্স যেমন সম্মান করতেন মিস কেন্টন-কে, তার কাজের তারিফও করতেন প্রচুর। কিন্তু আরো কিছু কি ছিল সেই সম্পর্কে? সার্ভিসে একনিষ্ঠ দুজন একাকী মানুষ, আরো কিছুর সম্ভাবনা কি কখনো জেগে ছিল তাদের? সময় থাকতে সেই প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি, তাই কি আজ কুড়ি বছর পরে স্টিভেন্সের এই অন্তিমযাত্রা? উপন্যাসের শেষ অংকে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর মিলবে, অথবা মিলবে না, স্টিভেন্সের ডিগনিটি হয়তো অক্ষতই থাকবে, কিন্তু শেষ পৃষ্ঠাগুলো জুড়ে শুধু হাহাকার, চুরমার হয়ে যাবেন পাঠক।

বলাবাহুল্য প্রশংসার বন্যা বয়ে গিয়েছিল সেই সময়ে, বইটি বেস্টসেলার হয়েছিল, এবং ১৯৮৯ সালের বুকার জিতেছিল, মার্গারেট অ্যাটউড এবং জন ব্যানভিল দুজনকেই হারিয়ে। দুই-তিন বছর যেতে না যেতেই বিখ্যাত ফিল্ম জুটি জেমস আইভরি ও ইসমাইল মার্চেন্ট বইকে ঘিরে চলচ্চিত্র বানাতে উদ্যোগী হয়ে ওঠেন। চিত্রনাট্য প্রথমে লিখেছিলেন প্রখ্যাত নাট্যকার এবং ভবিষ্যৎ নোবেল বিজয়ী হ্যারল্ড পিন্টার, পরে তিনি নাম তুলে নিলে স্ক্রিপ্টে কাজ করেন আরেক বুকার বিজয়ী পোলিশ-ভারতীয়-ইংরেজ লেখিকা রুথ প্রাওয়ার জাবভালা। স্টিভেন্সের ভূমিকায় অভিনয় করেন সদ্য অস্কার জেতা জাঁদরেল ইংরেজ অভিনেতা এন্টোনি হপকিন্স, মিস কেন্টনের ভূমিকায় ছিলেন এমা টম্পসন, তিনিও ঠিক আগের বছরই শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী অস্কার জিতেছিলেন। ছবিটি তিরানব্বই সালে মুক্তি পায়, এবং আটটি অস্কারের জন্যে মনোনীত হয়, যদিও জয়ের খাতা শূন্যই থেকে গিয়েছিল অনুষ্ঠানের রাতে। (আরেক বুকারজয়ী উপন্যাস শিন্ডলার্স লিস্টের চলচ্চিত্রায়ণ সে বছর অস্কার মাতিয়ে ছিল। )

সে যাই হোক। ফিরে আসি ইশিগুরোর কাছে। খুব বেশি যে লেখেন তা না। এরপরের আটাশ বছরে গুনে গুনে পাঁচটি মাত্র বই লিখেছেন। এর মধ্যে দ্য আনকনসোল্ড (১৯৯৫), নেভার লেট মি গো (২০০৫) এবং দ্য বারিড জায়ান্ট (২০১৫) বিশেষ প্রশংসা লাভ করেছে। তবে লেখনীর গুণ, বুকার বিজয়, সফল ছায়াছবি – সবকিছু মিলিয়ে 'দ্য রিমেইন্স অফ দ্য ডে' আজ অব্দি বোধহয় ইশিগুরোর সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ হিসেবে চিহ্নিত রয়ে গেছে।


আলোকচিত্র: ১৯৮৩ সালে গ্রান্টা সাহিত্য পত্রিকায় শ্রেষ্ঠ তরুণ বৃটিশ লেখকদের তালিকায় পঞ্চপান্ডবদের সকলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন।
কিছুদিন আগে গার্ডিয়ান পত্রিকার জন্যে লেখা একটি প্রবন্ধে ইশিগুরো কিভাবে বইটি লিখেছিলেন তার বর্ণনা দিয়েছেন। তার বয়স তখন মাত্র বত্রিশ, পেশাদারী লেখক হিসেবে ইতিমধ্যে পাঁচ বছর অতিবাহিত হয়েছে, অল্পবিস্তর নামডাকও হচ্ছে, কিন্তু একই সাথে লেখালেখির সময় সুযোগ মানসক্ষেত্র কিভাবে যেন সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। ওদিকে মাথার পেছনে অনবরত বাড়ি দিয়ে যাচ্ছে একটি চরিত্র, ব্যতিক্রমী একটি কণ্ঠ। বৌয়ের সাথে বোঝাপড়া করলেন লেখক – আগামী চার সপ্তাহ সমাজ সংসার বন্ধু বান্ধব থেকে দূরে থাকবেন, দরজা জানালা বন্ধ করে কেবলই লিখবেন এই সময়ে, সকাল ৯টা থেকে রাত্রি সাড়ে দশটা পর্যন্ত টানা, মাঝখানে শুধু লাঞ্চ-ডিনার খাবার জন্যে বিরতি। চিঠিপত্র টেলিফোন সব বর্জন করবেন এই এক মাস। যেমন কথা তেমন কাজ। চার সপ্তাহ পাগলের মত লিখে গেলেন, অবশেষে তার ফল মিললো – প্রায় গুছিয়ে আনা আড়াইশো পাতার একটি উপন্যাস।

প্রবন্ধের শেষটুকু স্টিভেন্সের হাতেই দিয়ে যেতে চাই। আধুনিক ফিকশনে অনন্য এই চরিত্র, প্রথম পৃষ্ঠা থেকেই পাঠককে জড়িয়ে ফেলেন তার পরিপাটি মাপা গদ্যে। সেই কণ্ঠ একই সাথে সুচারু, আনুষ্ঠানিক, এবং মেকী। ভাষা যেন এখানে এক বর্ম, আপন আবেগের সাথে বোঝাপড়া পিছিয়ে দেয়ার অজুহাত মাত্র। মধ্যশতকের অভিজাত ইংরেজ জমিদারের বিশ্বস্ত ভৃত্য-স্বত্ত্বার এই চিত্রায়ন এতটাই যথার্থ, যে পাঠক ভূলে যাবেন এর পেছনে আছে এক জাপানি ইমিগ্র্যান্ট ছেলের কলম! যখন মনে পড়বে বিস্ময়ে মাথা ঝাঁকিয়ে আবার ডুবে যাবেন স্টিভেন্সের আত্মগরিমা আর আত্মপ্রতারণার অথৈ সাগরে। এ যেন এক অলৌকিক আলকেমি। নোবেল পুরস্কার ঠিক কতখানি প্রাপ্য ছিল ইশিগুরোর, তা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে – দৌড়ে তার থেকে এগিয়ে ছিলেন আরো অনেক লেখক। কিন্তু স্টিভেন্সের অবিস্মরণীয় চরিত্রের মাধ্যমে, রিমেইন্স অফ দ্য ডে উপন্যাসের বুকভাঙা সৌন্দর্য উপহার দিয়ে ইশিগুরো অনেক আগেই লেখক হিসেবে অমরত্ব লাভ করেছেন।

প্রথম পাতা:

It seems increasingly likely that I really will undertake the expedition that has been preoccupying my imagination now for some days. An expedition, I should say, which I will undertake alone, in the comfort of Mr Farraday's Ford; an expedition which, as I foresee it, will take me through much of the finest countryside of England to the West Country, and may keep me away from Darlington Hall for as much as five or six days. The idea of such a journey came about, I should point out, from a most kind suggestion put to me by Mr Farraday himself one afternoon almost a fortnight ago, when I had been dusting the portraits in the library. In fact, as I recall, I was up on the step-ladder dusting the portrait of Viscount Wetherby when my employer had entered carrying a few volumes which he presumably wished returned to the shelves. On seeing my person, he took the opportunity to inform me that he had just that moment finalized plans to return to the United States for a period of five weeks between August and September. Having made this announcement, my employer put his volumes down on a table, seated himself on the chaise-longue, and stretched out his legs. It was then, gazing up at me, that he said:

'You realize, Stevens, I don't expect you to be locked up here in this house all the time Γm away. Why don't you take the car and drive off somewhere for a few days? You look like you could make good use of a break.'

পুনশ্চ – বাংলার আপামর অনুবাদকদের কাছে করজোড় অনুরোধ, আপনাদের দোহাই এই গদ্যকে অযত্নে পদদলন করবেন না!