ওই প্রতিষ্ঠান নিশ্চিতভাবেই তেমন আয়োজন করেনি। স্বউদ্যোগে ওটা করেছেন সেখানে কর্মরত কিছু ব্যক্তি। ওই সাংবাদিক একাত্তরের ঘাতক-দালালদের পক্ষের লোক নন মোটেও। দেরিতে হলেও এদের মধ্যে চিহ্নিতদের যে বিচার চলছে দেশে, তিনি তার পক্ষেরই লোক। একাত্তরে কৃতকর্মের জন্য সাকা চৌধুরীর ফাঁসি হওয়া উচিত বলে তিনিও মনে করেন।
তা সত্ত্বেও উনি চান না মিষ্টি বা আইসক্রিম খেয়ে এ নিয়ে উল্লাস করতে। এটি তার কাছে রুচিবিরুদ্ধ মনে হয়। অথচ এর চর্চা রয়েছে আমাদের সমাজে, রাজনীতিতে। কোনো কোনো মিডিয়ায়ও ফাঁসির রায়ে উল্লসিত হয়ে মিষ্টি বিতরণ বা খাওয়ার ছবি প্রচারিত হয়। ওই সাংবাদিকের সঙ্গে এ লেখকও মনে করেন, এ ধরনের খবর প্রচারের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও ছবি প্রকাশ করা উচিত নয়।
যাহোক, সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বেশ কয়েকটি কিন্তু প্রমাণ করা যায়নি। এটা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে ঘটছে। তবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এত সব গুরুতর অভিযোগ রয়েছে যে, তার দু'একটি প্রমাণ করা গেলেই ফাঁসির মতো দণ্ড হয়ে যাচ্ছে এদের।
এ পর্যন্ত সাতটি মামলায় রায় হয়েছে দুই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। একটি মামলায় আপিল নিষ্পত্তিও হয়েছে এর মধ্যে। তাতে ট্রাইব্যুনালে যে রায় হয়েছিল, সেটি সংশোধন করে আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আপিল বিভাগ। স্মর্তব্য, এ সংক্রান্ত মামলায় ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের প্রেক্ষাপটেই রাজধানীর শাহবাগে গড়ে উঠেছিল 'গণজাগরণ মঞ্চ'। এরপর ঘটে আরও কিছু ঘটনা।
সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে যে রায়ই হোক, সেটি কিন্তু প্রাথমিক। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দেশে এখন যে বিচার হচ্ছে, তাতে আসামি পক্ষ কিছুটা নজিরবিহীনভাবেই পাচ্ছে আপিলের সুযোগ। আপিল নিষ্পত্তির পর 'রিভিউ পিটিশন' চলবে কিনা, তা নিয়েও বিতর্ক চলছে। সর্বোচ্চ আদালত এর নিষ্পত্তি টানবেন নিশ্চয়ই।
সাকা চৌধুরীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা আপিল করবেন। সরকার পক্ষও আপিল করতে পারে, ট্রাইব্যুনালে যেসব অভিযোগ তারা প্রমাণ করতে পারেননি সেগুলো প্রমাণের তাগিদ থাকলে। ট্রাইব্যুনালে যে রায় হল, উচ্চতর পর্যায়ে তা টেকানোর চ্যালেঞ্জও রয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকতে থাকতে সাকা চৌধুরীর মামলায় আপিল নিষ্পত্তি হবে কিনা, সেটিও প্রশ্ন।
এ মামলায় রায় প্রদানের পর্যায়ে একটা বিতর্কও সৃষ্টি হয়েছে 'রায়ের কপি' ইন্টারনেটে প্রচার হয়ে গেছে বলে। বেশি দেরি না করে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে জানানো হল, 'খসড়া রায়ের কিছু অংশ' কোনো না কোনোভাবে তাদের দফতর থেকে বেরিয়ে যায়। সাকার বিরুদ্ধে রায় বা খোদ ট্রাইব্যুনালকেই বিতর্কিত করতে কোনো গোষ্ঠী এটা করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এজন্য মোটা অর্থ বিনিয়োগের অভিযোগও শোনা গেল। যারা এ লক্ষ্যে তৎপর হয়েছিলেন, তারা কিছুটা 'সাফল্য' পেয়েছেন বৈকি। এর আগে স্কাইপে বিতর্কে জড়িয়েছিল একটি ট্রাইব্যুনাল। একজন বিচারক তাতে পদত্যাগও করেন। সরকার সেটি মোটামুটি সামলে ওঠার পর আরেকটি বিতর্কের সৃষ্টি হল মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে। বিচার-সংশ্লিষ্টরা কতটা সতর্কতার সঙ্গে কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছেন, এর ফলে তা নিয়ে প্রশ্ন আরও জোরালো হবে।
সাকা চৌধুরীর পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়েছিল, আইন মন্ত্রণালয়ে রায় লেখা হচ্ছিল এবং সেখান থেকেই এটি ফাঁস হয়। রাজনৈতিক বিভক্তির শিকার ও ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাসীদের দেশে অনেকেই ওই বক্তব্য বিশ্বাস করবে– যদি না সরকার স্পষ্টভাবে প্রমাণ করতে পারে, ওটা নিছক প্রচারণা। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালকেও শামিল হতে হবে এ প্রক্রিয়ায়। খুঁজে বের করতে হবে, ট্রাইব্যুনালের ভেতর থেকে ঠিক কারা রায়ের ওই খসড়া বা তার অংশবিশেষ পাচার করেছিল। রায় যেখানে লেখা হচ্ছিল, সেখানে কি সিসিটিভি রয়েছে?
রায়ের খসড়া বা রায় 'লিক' হয়ে আগেভাগে প্রচারিত হয়ে যাওয়াটা বিচারকদের ত্রুটি নয়; ওটা সংশ্লিষ্ট দফতরের দুর্বলতা। বাংলাদেশে যেহেতু প্রথমবারের মতো এ ধরনের বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তাই হয়তো-বা সংশ্লিষ্টদের দুর্বলতা বা স্মার্টনেসের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে বেশি। অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা থেকে অবশ্য তারা সতর্ক হতে পারতেন।
তবে আমরা ঠিক জানি না, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে এত বিরোধিতা (ও অপতৎপরতা) আর কোথায় রয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও এর বিরুদ্ধে একটা জোরালো প্রচারণা চলছে। তাই সরকার পক্ষকেও তাদের হাতে সূচিত এ কার্যক্রমের পক্ষে জোর দিয়ে বলতে হচ্ছে একই অঙ্গনে।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে চিহ্নিত দল জামায়াতে ইসলামীর প্রথম সারির নেতাদেরই শুধু বিচার হচ্ছে না। এর মধ্যে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির দুই সিনিয়র নেতাও রয়েছেন। সাকা চৌধুরী তাদের একজন। পঁচাত্তর-পরবর্তীকালে রাজনীতিতে আবির্ভূত হয়েও তিনি ক্রমাগত নেতিবাচক আলোচনার জন্ম দেন।
একাধিকবার দলবদল করেন; মন্ত্রী ও উপদেষ্টা হন একাধিকবার। চট্টগ্রামের নিজ এলাকা থেকে নির্বাচিতও হন বেশ কয়েকবার। বিএনপির জন্য কঠিন বিগত নির্বাচনেও তিনি জিতে আসেন। ভোটাররা যে অনেক ক্ষেত্রে এমন ব্যক্তিকেও অক্লেশে নির্বাচিত করেন, সাকা চৌধুরী তার এক কর্কশ উদাহরণ। ভোটকে তাই শুধু সাদা-কালোয় ব্যাখ্যা করা চলে না। এর ধূসর এলাকাও অনেক বিস্তৃত।
ট্রাইব্যুনাল অবশ্য বিতর্কিত রাজনীতিক সাকা চৌধুরী নয়– বিচার করেছেন একাত্তরে তার কৃতকর্মের। রাউজানসহ ওই অঞ্চলে সাকা ও তার পিতা ফজলুল কাদের চৌধুরীর কর্মকাণ্ড এতদিন লোমহর্ষক কাহিনীর মতো মুখে মুখে ফিরেছে। সেগুলোই অভিযোগ আকারে উপস্থাপিত হয়েছিল ট্রাইব্যুনালের সামনে। তার কিছু প্রমাণ হয়েছে; কিছু হয়নি।
যেসব অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি সরকার পক্ষ, সেগুলোয় ক্ষতিগ্রস্তরাও খুশি হবেন সাকা চৌধুরীর কঠোরতম দণ্ড হওয়ায়। মিষ্টি না খেয়ে বা আনন্দমিছিলে শরিক না হয়েও চোখের জলে স্বস্তি প্রকাশ করবেন তারা।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভেতরেও একজন মানবতাবিরোধী অপরাধীর খোঁজ মিলেছে। তিনি অবশ্য দলের উচ্চ পর্যায়ের কেউ নন। ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে চ্যালেঞ্জ করে বলা হয়েছে, দলে আর তেমন কেউ থাকলে দেখিয়ে দিন। আওয়ামী লীগ আমাদের স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিল, এটা নির্ভেজাল সত্য। তাদের মধ্যে একগাদা 'মানবতাবিরোধী অপরাধী' থাকতে পারে না।
অনেকে অবশ্য একাত্তর-পরবর্তী বিভিন্ন শাসনামলে সংঘটিত অপরাধের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অপরাধের তুলনা করে প্রশ্ন তোলেন। এসব অসঙ্গত প্রশ্নের জবাবও ঠিকমতো দেওয়া হয় না। সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে কিন্তু পঁচাত্তর-পরবর্তীকালে সংঘটিত গুরুতর ফৌজদারি অভিযোগও রয়েছে। এ নিবন্ধে সেসব টেনে আনা সঠিক হবে বলে মনে হচ্ছে না। তবে আইনের শাসনের স্বার্থে সেগুলোরও নিষ্পত্তি হওয়া দরকার।
বর্তমান শাসনামলে বিশ্বজিৎ হত্যাসহ যেসব বড় অপরাধ ঘটেছে, তার ন্যায়বিচার হওয়াটাও জরুরি। এ সরকারের আমলেই সেটি ঘটলে ভালো হত। নেতিবাচক ঘটনার উপযুক্ত প্রতিবিধান করা গেলে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হওয়ার সম্ভাবনাও ছিল। এতে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার অনুষ্ঠানে নৈতিক শক্তি অর্জন করত সরকার।
বড় কোনো লক্ষ্য অর্জনে সাংবিধানিক বা আইনগত ভিত্তির সঙ্গে রাজনৈতিক আর নৈতিক শক্তিও দরকারি হয়ে পড়ে। সরকারের বোদ্ধা শুভানুধ্যায়ীরা চেষ্টা করেও তাদের এটি বোঝাতে পারেননি। জাগ্রত হয়নি তার রাজনৈতিক সদিচ্ছা। মেয়াদের শেষ সময়ে এদের অনেককে তাই নিশ্চুপ হয়ে যেতেও দেখা যাচ্ছে।
সরকার অবশ্য রয়েছে সরব। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়েও সরব তারা। সাকা চৌধুরীর রায়ের পর ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বললেন, প্রমাণ হল বিএনপি 'যুদ্ধাপরাধীদের দল'। যুদ্ধাপরাধ আর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার এক না হলেও প্রায়ই গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে দুটিকে। তিনিও গুলিয়ে ফেলেছেন; তবে যা বোঝাতে চেয়েছেন, সেটি আমরা বুঝেছি।
বিএনপি কী ধরনের দল, তা প্রমাণের জন্য কিন্তু সাকা চৌধুরী বা আবদুল আলিমের দণ্ড পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় না। বিএনপি আগে যা ছিল, এখনও মোটামুটি তা-ই। জামায়াতের সঙ্গে কৌশল ও নীতিগত ঐক্যের ভিত্তিতেই তারা এগোচ্ছেন। জোট বেঁধে নির্বাচনে জিতে পূর্ণ মেয়াদে দেশও শাসন করেছেন একবার। আজ যারা একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে কঠিন সব দণ্ডে দণ্ডিত হচ্ছেন, তাদের অন্তত দুজনের গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়েছিল বিগত বিএনপি শাসনামলে।
দলটির প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তিকে রাজনীতির সুযোগ করে দিয়েছিলেন। এও জানা, নিজ দলে তাদের প্রবেশ বা অনুপ্রবেশকে স্বাগত জানিয়েছিলেন তিনি। বামপন্থীদের একটি বড় অংশও তার সঙ্গে এসে যোগ দেয়। এ প্রক্রিয়ায় এগিয়ে সাফল্যও পান তিনি। দেশে নতুন এক রাজনৈতিক ধারা প্রতিষ্ঠায় তিনি সক্ষম হয়েছিলেন, এও কি অস্বীকার করা যাবে?
এরশাদ পতনে গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তনের পরও বিএনপি কিন্তু দাপটের সঙ্গে রয়েছে এদেশের রাজনীতিতে। সুদিন-দুর্দিনে সঙ্গে রয়েছে তার বিরাট সমর্থক গোষ্ঠী। সাকা চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ডে তেমন বিচলিত হবেন না তারা। বিএনপির রাজনীতিও এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে হয় না।
সাকা চৌধুরীর রায় নিয়ে বিএনপি কিন্তু তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। চট্টগ্রাম বিএনপির হরতালও ছিল দায়সারা। দলে তো বটেই, সাকা চৌধুরী স্থানীয় বিএনপিতেও বিতর্কিত ছিলেন বরাবর। বিশ্রী মুখভঙ্গিতে বাজে মন্তব্য তিনি করেছিলেন বেগম জিয়াকে উদ্দেশ্য করেও। তারপরও দলে কেন তাকে অপরিহার্য ভাবা হত, সে এক রহস্য। মিডিয়াও তা ভেদ করতে পেরেছে বলে মনে হয় না।
সাকা চৌধুরীর রায়ের পর বিএনপি নয়– ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি (বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাও বটে)। বঙ্গবন্ধুর আমলে ইনি পাকবাহিনীর দেশীয় সহযোগীদের বিচারে স্পেশাল পিপি ছিলেন, এটা ভাবতে একটু অবাক লাগে। মানুষের রাজনৈতিক অবস্থান অবশ্য বদলাতেই পারে। তবে মনে হয় না, সব দিক বিবেচনা করে ওই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তিনি। ট্রাইব্যুনালও বিষয়টি হয়তো সহজভাবে নেবেন না।
বুধবার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির অবস্থান কিন্তু ওই আইনজীবী নেতার মতো নয়। সাকা চৌধুরী বিষয়ে যতদূর যাওয়া যায়, ততটাই গিয়েছে দলটি। এটা বোঝা যাচ্ছিল মামলাটি রায়ের পর্যায়ে উপনীত হওয়ার সময় প্রচারিত খবরেই। দলীয় রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয় বয়োবৃদ্ধ আবদুল আলিমের বিষয়ে রায় হলে বিএনপি মনে হয় আরও কম প্রতিক্রিয়া দেখাবে।
দলটির সামনে এখন একটাই ইস্যু, তা হল জাতীয় নির্বাচনে 'লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড' প্রতিষ্ঠা। স্পষ্ট করে বললে, ওই নির্বাচনকালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী যেন রাষ্ট্রক্ষমতায় না থাকেন– যে কোনো মূল্যে সেটি নিশ্চিত করা। মাঠের এ বিজয় নিয়েই নির্বাচনে যেতে চান তারা।
প্রভাবশালী বিদেশিদের সহায়তায় এটি অর্জিত হয়ে গেলে সবচেয়ে ভালো। তাহলে রাজপথ উত্তপ্ত করার চ্যালেঞ্জ আর নিতে হয় না। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বিষয়ে দলীয় অবস্থানকে এর অঙ্গীভূত করেই তৎপরতা জারি রাখতে চাইছেন তারা। বিচার ও রায়ের কিছু টেকনিক্যাল 'ত্রুটি'ই তাই তুলে ধরছেন– গোটা কার্যক্রমের পূর্ণ বিরোধিতা না করে। রাষ্ট্রক্ষমতায় ফিরে এলে এ ক্ষেত্রে কী করা হবে, সেটিও যথাসম্ভব অস্পষ্ট রাখছেন তারা।
এতে জামায়াতকেও সঙ্গে রাখা যাচ্ছে। রাজপথ ও নির্বাচন উভয় ক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগ মোকাবেলায় দলটিকে তার প্রয়োজন। বিএনপির সমর্থক গোষ্ঠীও এটা মানে। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে এদের দিক থেকে কি বড় কোনো চাপ অনুভব করছে বিএনপি? তা না হলে আর চিন্তা কী!
হাসান মামুন : সাংবাদিক