স্পোর্টস ডেস্ক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 2022-05-21 16:14:11 BdST
এ বছর নভেম্বরে কাতারে বসবে বৈশ্বিক ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বিশ্বকাপ। রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল নোঙর ফেলবে আলিসন, ফাবিনিয়ো, নেইমার, কাসেমিরোদের মতো তারকাদের নিয়ে। যথারীতি ‘ফেভারিট’-এর তকমাও সেঁটে থাকবে দলটির গায়ে।
বিশ্ব মঞ্চে ‘সেলেসাওদের’ সবশেষ প্রাপ্তি অধিনায়ক কাফুর হাত ধরেই। দক্ষিণ কোরিয়া-জাপানের আসরের ফাইনালে জার্মানিকে হারিয়ে উৎসব সেরেছিল তারা। ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪২ ম্যাচ খেলা কাফুও ইতিহাসে নাম লিখিয়েছিলেন ওই ফাইনালেই; ইতিহাসের একমাত্র ফুটবলার হিসাবে টানা তৃতীয় ফাইনাল খেলা ফুটবলার তিনি।
তিন আসরে কাফুর প্রাপ্তির হিসেব পূর্ণতা পায়নি ষোল আনা। ১৯৯৪ সালে শিরোপা জিতলেও ১৯৯৮ সালে হার। ২০০২ সালে কাফুর শেষ বিশ্বকাপ জয়, ব্রাজিলেরও সবশেষ বনেদি এই ট্রফি পাওয়া।
প্রত্যাশার চাপ বরাবরই সঙ্গী ব্রাজিল দলের। কাতারেও তিতের দল একই চাপ কাঁধে চেপে মিশন শুরু করবে। বিবিসিতে শনিবার প্রকাশিত তার সাক্ষাৎকারে নেইমারদের তা মনে করিয়ে দিলেন এবারের বিশ্বকাপের দূত কাফু।
“প্রতিটি টুর্নামেন্টে ব্রাজিল পা রাখে জয়ের চাপ নিয়ে। সুবিশাল ইতিহাস নিয়ে বিশ্বের অনেক বড় একটি দেশ ব্রাজিল। কেবল বিশ্বকাপ নয়, যে ম্যাচই হোক না কেন, সবখানেই জয়ের চাপ ব্রাজিলের উপর সবসময় থাকে। আমাদের ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের খুবই ভালো একটা প্রজন্ম আছে; তাই প্রত্যাশা থাকাও স্বাভাবিক।”
“এবার জয়ের সময় এসেছে। এটা পরিষ্কার যে, যদি আমরা বিশ্বকাপ জিততে না পারি, তাহলে সেটা ব্যর্থতা হবে। আমাদের সবারই প্রত্যাশা আছে এবং আশা করি আমরা এবার জিততে পারব। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বিশ্বকাপে ভালো এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ফুটবল খেলা, এরপর ফাইনালের বিষয়টি…যেটা কেউ অনুমান করতে পারে না।”
গ্যারেথ সাউথগেটের কোচিংয়ে গত কয়েক বছরে দারুণ উন্নতি করা ইংল্যান্ড দলটি বেশ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। রাশিয়া বিশ্বকাপে সেমি-ফাইনাল খেলা দলটি গত বছরের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দুর্দন্ত ফুটবল উপহার দিয়ে ওঠে ফাইনালে। কিন্তু শিরোপা লড়াইয়ে তারা হেরে যায় ইতালির বিপক্ষে।
দিনে দিনে আরও ভালো হয়ে ওঠা ইংল্যান্ডের আসছে বিশ্বকাপে ভালো সম্ভাবনা দেখছেন কাফু।
বিশ্বকাপের ড্রয়ে দুই অর্ধে পড়েছে ব্রাজিল ও ইংল্যান্ড। যদি দুটি দলই নিজেদের গ্রুপে সেরা হয় এবং নকআউট পর্বের সবগুলো ধাপ পেরুতে পারে, তাহলে ফাইনালে দেখা হবে। দোহার ৮০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন লুসাইল স্টেডিয়ামে ১৮ ডিসেম্বর হবে ফাইনাল।
বিশ্বমঞ্চে এই দুই দলের সবশেষ দেখা হয়েছিল ১৯৭০ সালের আসরের গ্রুপে পর্বে। দিনটি ছিল ৭ জুন; একই দিনে পৃথিবীর আলো-বাতাসে এসেছিলেন কাফুও। ব্রাজিল-ইংল্যান্ড ফাইনাল হলে কেমন হবে?
“দুটি দেশের ফুটবলের ধার-ভারের ইতিহাসের কারণে ব্রাজিলের মানুষের কাছে এটা স্বপ্নের ফাইনাল বলে বিবেচিত হবে।”
“(ফাইনালে ব্রাজিল-ইংল্যান্ড মুখোমুখি হলে) ম্যাচটি অনেক আবেগ বয়ে আনবে এবং এটা কেবল ইংল্যান্ডের সমর্থকদের জন্য নয়, সার্বিকভাবে ফুটবলের জন্যই দারুণ ব্যাপার হবে।”