>>রয়টার্স
Published: 2021-11-15 21:33:42 BdST
দিল্লি এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিষাক্ত ধোঁয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকায় পরিস্থিতি সামলাতে স্কুল বন্ধ করে অনলাইনে ক্লাশ নেওয়া এবং সব ধরনের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখাসহ সরকারি দপ্তরগুলোর কাজ বাসা থেকে করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
শনিবারের ওই নির্দেশের পরই সুপ্রিম কোর্টের এই পদক্ষেপ এল। নগরীর এক অধিবাসীর পিটিশন বিবেচনায় নিয়ে তিন বিচারকের প্যানেলের প্রধান বিচারপতি এনভি রমানা বলেন, “আমরা কেন্দ্র এবং দিল্লি সরকারকে কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করতে বলার নির্দেশ দিচ্ছি।”
গত সপ্তাহে দীপাবলি উৎসবের পর থেকে দিল্লি ও আশপাশের গুরগাও, নয়ডা ও গাজিয়াবাদে সাত দিনেরও বেশি সময় ধরে দূষিত বায়ুর একটি চাদরে ঢাকা পড়ায় দম বন্ধ আবস্থা বিরাজ করছে।
দিল্লি, হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশ সরকারের জারি করা নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে দীপাবলির আগে, দীপাবলির দিন ও পরে ওই এলাকাগুলোতে হাজার হাজার বাজি পোড়ানো হয়, ফলে ভারতের এই রাজধানীর দূষণের মাত্রা ভয়াবহ খারাপ স্তরে চলে যায়।
দিল্লিতে বিষাক্ত ধোঁয়াশা, স্কুল বন্ধের নির্দেশ
সামগ্রিকভাবে দিল্লির একিউআই (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা বায়ু মানের সূচক) সোমবার দাঁড়িয়েছে ৩৪৩- তে, যা ‘খুবই খারাপ’ বায়ুমান ক্যাটাগরি।
একিউআই রিডিং ৪০০ বেশিকে ‘গুরুতর’ বা ‘বিপজ্জনক’ বলে বিবেচনা করা হয়। পিএম শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে, ওই বাতাসকে বায়ু মানের সূচকে (একিউআই) ‘ভালো’ বলা যায়। ৫১ থেকে ১০০-র মধ্যে থাকলে ‘মোটামুটি গ্রহণযোগ্য’ ধরা হয়।
অবিলম্বে দুষণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ চূড়ান্ত করতে জরুরি বৈঠক ডাকার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকেও নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
আদালত আরও জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে মঙ্গলবারেই জরুরি বৈঠক ডাকা এবং যে বিষয়গুলো নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে৷
নির্মাণ কাজ, খড় পোড়ানোয় বেশি দূষণ হওয়ায় এক সপ্তাহ এই খড় পোড়ানো যেন বন্ধ থাকে তা দেখতে রাজ্যগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
তাছাড়া, গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যানের সাব কমিটি ইতোমধ্যে দূষণ থেকে বাঁচতে নির্দেশনা জারি করেছে। সরকারি এবং বেসরকারি অফিস এবং অন্যান্য সংস্থাকে ৩০ শতাংশ গাড়ির ব্যবহার কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দূষণ থেকে বাঁচতে বাড়িতে থাকা এবং বাড়ি থেকে কাজ চালানো ছাড়াও জরুরি অবস্থার আওতায় দিল্লিতে ট্রাকের প্রবেশ নিষেধ এবং নির্মাণ কাজও বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় পত্রিকাগুলো।