Published: 2022-01-19 23:16:35 BdST
বরং স্বাস্থ্যবান শিশু ও কিশোদের করোনাভাইরাসের বুস্টার ডোজ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার পক্ষে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই বলেই মঙ্গলবার মন্তব্য করেছেন ডব্লিউএইচও’র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন।
এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “টিকা দেওয়ার পর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত গতিতে বিস্তার ঘটতে থাকা ওমিক্রন সংক্রমণ প্রতিরোধে এর কার্যকারিতা যেহেতু কিছুটা কমে আসে বলে প্রতীয়মান হয়েছে; তাই কাদের বুস্টার ডোজ নেওয়া প্রয়োজন তা নির্ধারণ করতে আরও গবেষণা করা প্রয়োজন।”
“ঠিক এ মুহূর্তে এমন কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই, যার ভিত্তিতে বলা যায় যে, স্বাস্থ্যবান শিশু-কিশোরদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার প্রয়োজন আছে। কোনও তথ্যপ্রমাণ আদৌ নেই,” বলেন তিনি।
ইসরায়েল ইতোমধ্যে ১২ বছর বয়সীদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনও ১২ থেকে ১৫ বছরের কিশোরদের ফাইজার-বায়োএনটেকের কোভিড টিকার তৃতীয় ডোজ দেওয়ার বৈধতা দিয়েছে।
গত সপ্তাহে জার্মানি সর্বশেষ দেশ হিসেবে ১২ থেকে ১৭ বছরের সবাইকে কোভিড-১৯-এর বুস্টার ডোজ দেওয়ার সুপারিশ করে। একই পথ অনুসরণ করেছে হাঙ্গেরি।
স্বামীনাথান বলেন, সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা, কীভাবে দেশগুলোর বুস্টার ডোজ নীতি অনুসরণ করা উচিত তা নিয়ে এ সপ্তাহের শেষদিকে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরবেন।
তিনি বলেন, “দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্নদের রক্ষা করা আমাদের উদেশ্য; মৃত্যুর সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।”
আমাদের বয়স্ক জনগোষ্ঠী এবং সরাসরি স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে জড়িত কর্মীরাও এর অন্তর্ভুক্ত, বলেন তিনি।