হল নেই, তবুও প্রাধ্যক্ষ

শিক্ষার্থীদের স্থায়ী ও অস্থায়ী আবাসন পরিকল্পনা এগিয়ে নিতেই এমন পদক্ষেপ, বলছেন উপাচার্য।

প্রাধ্যক্ষ মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান সাদী।

বাস্তবিক অবকাঠামো এমনকি কাগজে-কলমে না থাকলেও 'ছাত্র হল-১' নাম দিয়ে প্রাধ্যক্ষ নিযুক্ত করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান সাদীকে মঙ্গলবার 'ছাত্র হল-১' এর প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের স্থায়ী ও অস্থায়ী আবাসন পরিকল্পনা এগিয়ে নিতেই এমন পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, “আমাদের জরুরি ভিত্তিতে এখন শিক্ষার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। সেজন্য দুটি বিষয় সামনে এসেছে। ভবন ভাড়া নিয়ে শিক্ষার্থী উঠানো, যা অস্থায়ী; আর দ্বিতীয়টি হলো হল নির্মাণ।

“এ বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা এগিয়ে নেওয়ার জন্য একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির প্রয়োজন। এজন্যই উনাকে দায়িত্বটা দেওয়া হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের দাবিটা দ্রুত পূরণ হবে।”

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. শেখ গিয়াস উদ্দিনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে দুই বছরের জন্য প্রাধ্যক্ষ নিযুক্ত করা হয়েছে আসাদুজ্জামান সাদীকে।

হল না থাকলেও প্রাধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রসিকতাও করছেন ব্যবহারকারীদের অনেকে।

এ বিষয়ে উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মো. রইছ উদদীন বলেন, “হলের কাজ এগিয়ে নেওয়ার জন্য একজন দায়িত্বশীল লোক প্রয়োজন মনে করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। এতে শিক্ষার্থীদের হল সম্পর্কিত সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থের এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।”

নতুন প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাদী বলেন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের হল নির্মাণে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করার জন্য এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে লিখিতভাবে তিনি কোনো কর্মপরিকল্পনা হাতে পাননি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে হল নির্মাণে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা জন্য মূলত দায়িত্বশীল একজন ব্যক্তি প্রয়োজন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত অস্থায়ী আবাসন ব্যবস্থাও করতে হবে।

“মূলত এই দুই দায়িত্বের জন্যে আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কর্মপরিকল্পনা আমার হাতে আসলে আমি সে অনুযায়ী কাজ করতে পারব।”