বুধবার রাতে হওয়া হামলাটির জন্য হুতি বিদ্রোহীদের দায়ী করেছে ইয়েমেনের সরকারপন্থি রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম এসএবিএ, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
শহরটির একজন বাসিন্দা ও এক হাসপাতাল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বুধবার আল মাতার এলাকায় একটি সামরিক ভবনের পেছনে ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হানে।
ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলে সরকারপন্থিদের নিয়ন্ত্রণে থাকা একমাত্র শহর মারিব। এর পাশে তেল-গ্যাস সমৃদ্ধ একটি অঞ্চল রয়েছে। গত বছর এই অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য মারিবের দিকে এগোতে শুরু করে হুতি বিদ্রোহীরা, যারা ইরানের মিত্র হিসেবে পরিচিত।
দুই পক্ষই সামরিক অভিযান জোরদার করায় ইয়েমেনে লড়াই বন্ধে জাতিসংঘের নেওয়া উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে দাতব্য সংস্থা সেইভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, ২৮ জন বেসামরিক নিহত বা আহত হয়েছে আর ইয়েমেনের লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো হচ্ছে না, যা অবশ্যই দেখানো উচিত।
এক টুইটার পোস্টে তারা বলেছে, “চলমান লড়াইয়ের ভয়াবহতা থেকে বেসামরিকদের অবশ্যই রেহাই দিতে হবে।”
গত কয়েক সপ্তাহে সৌদি আরবে অনেকগুলো ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে হুতিরা। ইয়েমেনে হুতিদের বিরুদ্ধে সরকারপন্থিদের লড়াইয়ে সমর্থন দিচ্ছে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। এই জোটের অন্যতম সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে সম্প্রতি দুটি নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে হুতিরা।
এর জেরে ইয়েমেনের হুতি এলাকাগুলোতে বিমান হামলা জোরদার করেছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী। ইয়েমেনের এক কারাগারে বাহিনীটির এমনই এক হামলায় প্রায় ৯০ জন নিহত হয়েছে।