“একটা সংযোগ আমরা বাকলিয়া ও বির্জা খালের মধ্যে করে দিচ্ছি, যেন দ্রুত পানি নেমে যেতে পারে,” বলেন মেয়র।
Published : 22 Apr 2025, 08:28 PM
চট্টগ্রামে খালে পড়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি)।
মঙ্গলবার বিকালে নগরীর টাইগার পাসে অস্থায়ী নগর ভবনে সেবা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সভা শেষে সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন এ তথ্য জানান।
মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, “একটা তদন্ত কমিটি আমরা করেছি। আহ্বায়ক করা হয়েছে আমাদের সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিনকে।”
কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে আছেন প্রধান প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান। সদস্য করা হয়েছে আইন কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মুরাদ ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার আর ইউ এ চৌধুরীকে।
কমিটি সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে বলে জানান মেয়র শাহাদাত হোসেন।
গত শুক্রবার রাতে নগরীর কাপাসগোলা এলাকায় হিজড়া খালে রিকশা থেকে পড়ে নিখোঁজ হয় সাত মাসের শিশু শেহেরিজ।
পরের দিন সকালে চাক্তাই খালের শুটকি পট্টি এলাকায় শেহেরিজের লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা।
বছর কয়েক ধরেই বর্ষা এলে খাল-নালাগুলো নগরবাসীর জন্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই ময়লা আবর্জনায় প্রায় ভরাট হয়ে থাকা এসব খাল-নালা জলাবদ্ধতা তৈরির পাশাপাশি প্রাণঘাতীও হয়ে উঠছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, “যেদিন এ ঘটনা ঘটে সেদিন (শুক্রবার) যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তাতে চকবাজার, বহদ্দারহাট ও আগ্রাবাদের অনেক জায়গায় পানি ওঠার কথা ছিল। সেদিন আমি নিজে মুভ করেছি। কিন্তু দু-একটি জায়গা ছাড়া বেশির ভাগ জায়গায় পানি ওঠেনি। তার অর্থ হচ্ছে, কাজ চলছে।”
বাড়ই পাড়া খালের কাজ চলমান জানিয়ে মেয়র বলেন, “পুরো কাজটা করতে আরও প্রায় ছয় থেকে নয় মাস লাগবে। একটা সংযোগ আমরা বাকলিয়া ও বির্জা খালের মধ্যে করে দিচ্ছি, যেন দ্রুত পানি নদীতে নেমে যেতে পারে।
“বাড়ই পাড়া খালের কাজ শেষ হলে বহদ্দারহাট, বাকলিয়া ও মুরাদপুর এলাকার পানি কর্ণফুলীতে চলে যেতে পারবে।”
‘আমাদের চট্টগ্রাম’ নামে একটি অ্যাপ চালু করা হবে জানিয়ে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, “১০টি জোনে শহরকে ভাগ করা হবে। কোনো নালা-নর্দমায় যদি ময়লা থাকে, কোনো খাল যদি অরক্ষিত থাকে, ডাস্টবিন-ম্যানহোলের ঢাকনা না থাকলে ছবি তুলে যে কেউ সরাসরি অ্যাপে পাঠাতে পারবে। সেবা নাগরিকের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে চাই।”
এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, “নগরীর বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে পাওয়ার চায়নার মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্ভাব্য অংশীদারত্ব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
“এ প্রতিষ্ঠান ২১টি খাল পুনঃখনন ও সংস্কারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব এসেছে, সিটি করপোরেশন ও মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলে তারা সরাসরি খাল সংস্কারের কাজ শুরু করতে প্রস্তুত।”
সভায় নগর পুলিশ, জেলা প্রশাসন, সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসা, বন্দর, পরিবেশ অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।