Published : 03 May 2025, 07:45 PM
নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের রাজধানী আলবেনির সংসদ ভবনে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপন করা হলো ‘বাংলাদেশ ডে’ তথা বাংলা নববর্ষ।
সোমবার এ আয়োজন ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মিলনমেলায় পরিণত হয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণ।
এতে দুই শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোকুল শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান। এছাড়া বেশ কয়েকজন স্টেট সেনেটর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং বাংলা গানের তালে নেচে বাঙালি সংস্কৃতির প্রতি তাদের সম্মান প্রদর্শন করেন।
আয়োজকদের মতে, এমন উৎসব ও বিদেশিদের মধ্যে এমন প্রাণবন্ত সাড়া আগে দেখা যায়নি।
চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সেনেটে বাংলা নববর্ষের দিনটিকে ‘বাংলা নববর্ষ ডে’ হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়ে ‘জে২৩৪’ নম্বর রেজুলেশন পাশ করা হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী বছর থেকে প্রতি ১৪ এপ্রিল এ দিনটি উদযাপন করা হবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ইতিহাস, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়। উদ্বোধনী বক্তব্যে সেনেটর লুইস সেপুলভেদা নিউ ইয়র্কের প্রবাসী বাঙালিদের অবদানের প্রশংসা করে বাংলা নববর্ষকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের অন্যতম উৎসব হিসেবে আখ্যা দেন। তার সঙ্গে ছিলেন সেনেটর ফার্নান্দেজসহ আরও কয়েকজন সেনেটর।
প্রবাসীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন এনআরবি ওয়ার্ল্ডওয়াইডের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বজিৎ সাহা, মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মুক্তিযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায়।
তারা বিশ্বায়নের যুগে বাংলা সংস্কৃতির গৌরবময় অবস্থান তুলে ধরেন এবং নিউ ইয়র্ক সেনেটের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
রথীন্দ্রনাথ রায় বলেন, “এই রেজুলেশনের মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে আমাদের সংস্কৃতি, ইতিহাস ও শিল্পকে তুলে ধরার এক অনন্য সুযোগ সৃষ্টি হলো।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি নেতা আতাউর রহমান সেলিম, আব্দুস শহীদ, আব্দুর রহিম বাদশা, রোকন হাকিম, লুৎফুন্নাহার লতা ও সিরাজউদ্দিন সোহাগ।
বিশ্বজিৎ সাহা জানান, অনুষ্ঠানটি শুরুতে ৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বাজেট বিষয়ক জটিলতায় তা পিছিয়ে সোমবার অনুষ্ঠিত হয়। তবে আগামী বছর থেকে বাংলা নববর্ষ ডে উদযাপিত হবে নির্ধারিত দিন ১৪ এপ্রিলেই।